Summer Vacation: প্রচন্ড গরমে ঘরে টেকাই দায় হয়ে গিয়েছে। তার উপর আবার বাইরে বেরোলে তো কথাই নেই জামা কাপড় ভিজে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে আবারো বাড়িয়ে দেওয়া হলো গরমের ছুটি। এখন আর স্কুলে যেতে হবে না বরং প্রচন্ড গরমে ঘরে বসেই পড়াশোনা করুক ছেলেমেয়েরা এমনটাই চাইছে শিক্ষা দপ্তর। আগে তাদের স্বাস্থ্য তারপর পড়াশোনা এই কথা ভেবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুলের দরজা। নতুন করে আবার ছুটি পেয়ে বেজায় খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা যদিও কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে বাবা মায়েদের।
বাড়ছে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা:
যেভাবে কঠিন অসুখে ভুগছে ছোট শিশুরা তাতে স্কুল বন্ধ না করলে আরো বিপাকে পড়তে হতে পারে। কিন্তু কোথায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আসলে পশ্চিমবঙ্গে যে সকল সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলি রয়েছে সেখানে বর্তমানে স্কুল বন্ধ করা সম্ভব নয়। সামনেই রয়েছে তাদের পরীক্ষা এছাড়া মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক তো আছেই।
এই অবস্থায় স্কুল বন্ধ করলে বিরাট ঘাটতির মুখে পড়তে হবে। এমনিতেই ৫০ দিন ধরে ছুটির হাওয়া খেয়ে নিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। এপ্রিল মাসে অতিরিক্ত গরমের জন্য ছুটি দিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তারপর জুন মাসের ১০ তারিখে খুলে যায় স্কুল। কিন্তু গরমের ছুটির পর স্কুল খুলতেই দেখা যায় গরম কমেছে কই (Summer Vacation)।
আরও পড়ুন: New Government Scheme: মহিলাদের পাশাপাশি এবার রাজ্যের বয়স্ক মানুষদের জন্য চালু হলো নতুন প্রকল্প
আবার পড়লো গরমের ছুটি:
কিন্তু এই অবস্থায় আর বাড়তি ছুটি দেওয়া সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল শিক্ষা দপ্তর তাই তারা সকালের দিকে ক্লাস করবার নির্দেশ দেন। তবে এবার ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হল এই রাজ্যে। কারণ সেখানে তাপমাত্রা প্রায় ৪০° সেলসিয়াস। এভাবে চলতে থাকলে শ্বাসকষ্ট কিংবা গরমে হিট স্ট্রোকে হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে! এই ঝুঁকি কোনোভাবেই নিতে চাইছে না তারা। তাই ১৫ টি জেলাতে অস্বাভাবিক গরমের জন্য ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্ষা আসলেই কিংবা পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেই আবার খুলে যাবে স্কুল।