Post Office Scheme: ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ের জন্য ব্যাংকের পর ডাকঘরের উপরই বিশেষ নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ। জানলে অবাক হবেন পোস্ট অফিস বা ডাকঘরে রয়েছে এমন কিছু স্কিম যার সাহায্যে অল্প সময়ের মধ্যে মোটা অংকের রিটার্ন পাওয়া যায়। আবার ডাকঘরে টাকা রাখলে তা থাকে সুরক্ষিত। মূলত নিম্নবিত্ত শ্রেণি এবং শ্রমিক শ্রেণীর জন্য পোস্ট অফিসে রয়েছে একাধিক স্কিম। তেমনই একটি দুর্ধর্ষ স্কিম সম্পর্কে জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে। যেখানে টাকা রাখলেই হবে টাকা ডবল।
রেকারিং ডিপোজিট ফিক্সড ডিপোজিট সহ আরো নানান সঞ্চয়ী প্রকল্প রয়েছে ডাকঘরে। একদিকে যেমন থাকবে সুরক্ষার গ্যারান্টি অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা হবে ডবল। তেমনই একটি প্রকল্প হল কিষান বিকাশ পত্র। কি এই প্রকল্প? কতদিন রাখতে হবে টাকা? কিভাবে ম্যাজিকের মতন টাকা ডাবল হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক। কিষান বিকাশ পত্র স্কিমে কোনো ব্যক্তি যদি দীর্ঘকালের জন্য বিনিয়োগ করতে যান তবে এটি হবে সুরাহাকার। আসলে এই প্রকল্পে সুদ পাওয়া যায় অনেক বেশি।
পোস্ট অফিস কিষান বিকাশ পত্র স্কিম:
কিষান বিকাশ পত্রে সুদের হার এবং মেয়াদ:
এতে বিনিয়োগ করলে সুদ মিলবে ৭.৫ শতাংশ হারে। এতে সিঙ্গেল কিংবা যৌথভাবে অ্যাকাউন্ট করে টাকা রাখতে পারেন। ১১৫ মাস বা নয় বছর সাত মাসে জন্য যদি বিনিয়োগ করেন তবে টাকা হবে ডবল। যদি বিশেষ প্রয়োজন থাকে তবে আড়াই বছরে অর্থাৎ প্রিম্যাচিউর হওয়ার আগেই টাকা উইথড্রো করতে পারবেন।
জেনে নিন, কীভাবে অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
অ্যাকাউন্ট খুলতে গ্রাহকদের যে কোনো নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: Tata Group: মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে বড় পদক্ষেপ নিল টাটা গ্রুপ! কম দামে পাওয়া যাবে দারুণ AC
জেনে নিন, কারা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন?
কিষান বিকাশ পত্রে অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে একজন ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। তবে দশ বছর বেশি বয়সী হলে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে সেক্ষেত্রে একজন অভিভাবক প্রয়োজন। সেইক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবক টাকা বিনিয়োগ করবেন। তবে NRI ব্যক্তি এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন না।
অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন:
আধার কার্ড, প্যান কার্ড, বয়সের প্রমাণপত্র, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, কিষণ বিকাশ পত্রের আবেদন পত্র।