Postal life Insurance: সন্তানের পড়াশোনা থেকে তার বিয়ে মা বাবার মাথায় থাকে নানান রকম চিন্তা। বর্তমানে শিক্ষা যথেষ্ট ব্যয়বহুল এছাড়া সন্তানের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে নানান রকম সঞ্চয় করার কথা ভাবেন বাবা-মায়রা। বিশেষ করে অসংগঠিত ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন তারা সঞ্চয়ের কথা আগে ভাবেন। যদি নির্ভরযোগ্য কোন স্থানে নিজের গচ্ছিত টাকা রাখতে চান এবং মোটা অংকের রিটার্ন পেতে চান তবে ভরসা করতে হবে পোস্ট অফিসকে।
সাধারণ ব্যাংকের তুলনায় পোস্ট অফিসে পাওয়া যায় দুর্দান্ত রিটার্ন এবং রয়েছে একগুচ্ছ স্কিম। বিশেষ করে সন্তানদের জন্য রয়েছে নানান প্রকল্প। এইসব বীমা প্রকল্প বিপদের সময় ভরসা যোগায়। হাত বাড়িয়ে দেয়।। বলা যেতে পারে সুখের সময় কিছু টাকা জমা করলে দুঃখের সময় আপনার পাশে থাকবে সেই কাগজের নোট।
তাছাড়াও পাবেন বাড়তি রিটার্ন। তেমনি একটি পোস্ট অফিসের বিমার সম্পর্কে আলোচনা করব যেখানে সামান্য কিছু টাকা বিনিয়োগ করলেই আপনি এককালীন পাবেন তিন লাখ টাকা। পোস্ট অফিসে এমন দুই ধরনের ইনসিওরেন্স স্কিম রয়েছে।
লাইফ ইন্সিওরেন্স স্কিম:
পোস্টাল লাইফ ইন্সুরেন্স এবং গ্রামীণ পোস্টাল লাইফ ইন ইন্সিওরেন্স। এগুলি আসলে জীবন বীমা নিগম। যদি আপনি পোস্টাল লাইফ ইন্সিওরেন্স করেন তবে মেয়াদ শেষ হলে পেয়ে যাবেন তিন লাখ। যদি গ্রামীন পোস্টাল লাইফ ইন্সুরেন্স করেন তবে তা হয়ে যাবে ১ লাখ। এগুলি আসলে এক ধরনের এন্ডমেন্ট পলিসি। প্রতি এক হাজার টাকার জন্য এখানে সুদ বা RPLI দেওয়া হয়ে থাকে ৪৮ টাকা এবং PLI দেওয়া হয়ে থাকে ৫২ টাকা।
আরও পড়ুন: মায়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই চলছে ছবি আঁকা! কেমন ছবি আঁকলো বিরাট কন্যা
এই পুরোটাই বোনাস হিসেবে দেওয়া হয় প্রতিবছর। অর্থাৎ বিনিয়োগের রাশি বোনাস এবং সুদ মিলিয়ে এককালীন অনেকখানি টাকা পাওয়া যায়। আপনি যদি কষ্ট করে কিছু টাকা জমিয়ে এই বিমা করতে পারেন তবে বাকিটা আপনাকে ভাবতে হবে না। প্রতিমাসে মোটা টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না।।
কত বছরে করবেন আবেদন:
৫-২০ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চারা এই পোস্টাল লাইফ ইনসিওরেন্স করতে পারবেন! তবে এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের বয়স যথেষ্ট বিচার্য। যদি দুই সন্তানের বাবা-মা হয়ে থাকেন তবেও বিনিয়োগ করতে পারবেন। পাঁচ বছর প্রিমিয়াম দিতে হয় এই স্কিমে। মাস তিন মাস অথবা ছমাসে প্রিমিয়াম জমা দিতে পারেন। যদি এই বীমার পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে শিশুর মা কিংবা বাবা মারা যায় তবে প্রিমিয়ামে পাওয়া যায় কিছুটা ছাড়। যদি ইন্সিওরেন্স করা যায় তবে সন্তান মারা গেলে নমিনিকে বোনাস সহ টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
অসুবিধা:
তবে মনে রাখবেন রয়েছে কিছু শর্তাবলী যেমন আপনার সন্তানের ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে। এটি সহজেই সারেন্ডার করা যায় না অর্থাৎ একবার যদি পলিসি চালু করেন তবে সেটা নিয়মিত রাখতে হবে। এই পলিসি থেকে কোন লোন পাওয়া যায় না