Rafiath Rashid Mithila: একসময় ওপার বাংলায় ভালোবাসার নতুন সংজ্ঞা সৃষ্টি করেছিলেন তারা। অবশেষে প্রায় এক দশকের সম্পর্ক বিচ্ছেদের পথে হাটে। আলাদা হয়ে যায় রাফিয়াদ রশিদ মিথিলা (Rafiath Rashid Mithila) এবং তাহসানের ঘর। এই ভালোবাসার জুটিকে ভাঙতে দেখে ভেঙে পড়েছিলেন বাংলাদেশের আপামর জনগণ। তারা নিজেরা এখন নিজেদের জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন। মিথিলা এবার বাংলার বধু। অন্যদিকে তাহসান এখনো বিয়ে করেননি।
মেয়েকে নিয়ে এপার বাংলার চলচ্চিত্রকার শ্রীজিৎ মুখার্জিকে (srijit mukherji) বিয়ে করেছেন মিথিলা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাহসানের সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে সুমধুর। সম্প্রতি একটি সিরিজে তারা একসঙ্গে কাজ করেছেন যদিও একসাথে তাদের বেশিক্ষণ থাকার সুযোগ হয়নি। সেটা নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ করেছেন ২ তারকাই। মিথিলা ভারতের বউমা হলেও তাকে বারবার ফিরতে হয়, নিজের দেশ বাংলাদেশ।
সৃজিত মিথিলার বিচ্ছেদ:
শুধুমাত্র একজন তারকা নয় তিনি সমাজ সংস্কারকও বটে। সারাদিন কাজের মাঝে ব্যস্ত থাকেন এবং মেয়েকেও সময় দেন। মেয়ে যাতে তার বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখে তার জন্য মাঝেমধ্যেই তাকে নিয়ে যান বাংলাদেশ। তাহসানের সঙ্গে তার মেয়ের সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে বারবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে দুই বাংলায় মিথিলার জোড়া ছবি। তার মাঝেই নিজের মেয়ে এবং তাহসানের সম্পর্কের সিক্রেট ফাঁস করলেন তিনি। অভিনেত্রী জানান তাদের মেয়ে আয়রা সৃজিতকে আব্বু বলে ডাকে। তাহসানের মেয়ে অথচ অন্যকে ডাকে বাবা বলে। অভিনেত্রী জানান আয়রা যখন এক বছরে তখন আমাদের বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু ওকে নিয়ে আমরা দুজনেই একসাথে কাটিয়েছি বেশ কিছুটা সময়।
আয়রা তাহসান সম্পর্ক:
ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কাটাছিরা করে নয় বরং সন্তানকে ভালোভাবে মানুষ করেই বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি আমরা। সৃজিতের সঙ্গে বারবার সংসার ভাঙার গুঞ্জনের কথা শোনা গিয়েছে। যদিও সেসব পাত্তা না দিয়ে নিজের খেয়ালেই বেঁচে রয়েছেন মিথিলা। ঘর করছেন সৃজিতের সঙ্গে। মেয়ে আইরা সৃজিতকে বাবা হিসেবেই মানে। প্রাক্তন স্বামী তাহসানের সঙ্গে বন্ধুত্ব ভালো হলেও সম্পর্ক টেকেনি। সেটা নিয়ে অবশ্য কোন না পাওয়া নেই মিথিলার। বরং নিজের কাজে বাংলাদেশে গেলে মেয়েকে তার বাবার কাছেই রেখে যান মিথিলা।