Air conditioner: যেভাবে বেড়েছে গরম তাতে এসি ছাড়া এক মুহূর্ত থাকা দায়। চলতি বছর রেকর্ড গরম পড়েছে গোটা ভারতবর্ষে। ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বোচ্চ গরমের প্রবল শিখায় কাবু সাধারণ মানুষ। বাইরে বের হলে একরকম তবে ঘরে থাকলে এসি ছাড়া কোন উপায় নেই। ফ্যানকে হার মানিয়ে দিচ্ছে এই গরম। তাই অগত্তা সকলেই ছুটেছেন এসির দোকানে। বিক্রিও হয়েছে এসি।
কিন্তু প্রতিবছর তো আর এসি কেনা সম্ভব নয়। তাই এই এসির শীতলতা ধরে রাখতে অবশ্যই এসি (Air conditioner) সার্ভিসিং করাতে হবে। সার্ভিসিং না করালে এসির বিপদ হতে পারে আবার এসি ফেটে বাস্ট করে আগুন পর্যন্ত ধরে যেতে পারে। তাই প্রতি বছর সার্ভিসিং করানো খুবই জরুরী। এই সার্ভিসিংয়ের খরচ ভীষণ কম। আবার কোন কোন কোম্পানি অফারেই সার্ভিসিং করিয়ে দিয়ে যায়। এসির তাপমাত্রা যত কমবে ততই বাড়বে শীতলতা।
সার্ভিসিং ছাড়া এসি:
আবার সার্ভিসিং ছাড়া দিনের পর দিন এসি (Air conditioner) ব্যবহার করলে বেড়ে যেতে পারে ইলেকট্রিক বিল। সময় সার্ভিসিং না করালে লীকেজ হতে পারে এসি। কিন্তু কিভাবে বুঝবেন আপনার এসির গ্যাস বেরিয়ে যাচ্ছে কিংবা বিপদে পড়েছে আপনার এয়ারকন্ডিশন যন্ত্র। এসিতে যখন গ্যাসের পরিমাণ কমে যায় তখন বুঝতে হবে ধীরে ধীরে গরম হয়ে আসছে এসির বাতাস। এসিতে যখন গ্যাস কমে যায় তখন অদ্ভুত এক ধরনের শব্দ করা শুরু করে এই যন্ত্র। এতে এসির কম্প্রেসার খারাপ হয়ে যেতে পারে। যদি এই ধরনের কোন সমস্যা দেখা দেয় তবে আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। একজন পেশাদার টেকনিশিয়ান আপনার এসি ঠিক করে দিতে পারবেন।
এসির দুর্গন্ধ:
আবার যদি এসি থেকে কোন রকম দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে ইদানিং তবেও গা ঢিলা করবেন না। রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসের গন্ধ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে যেতে পারে আর সেখান থেকে শর্ট সার্কিট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কম্প্রেসার চালু করার শব্দ যদি না শুনতে পান তবে ভাববেন এসির গ্যাস লিক হয়ে গিয়েছে। তৎক্ষণাৎ গ্যাস বটলিং করতে হবে। শুধু দাম দিয়ে এসি কিনলেই হবে না জানতে হবে তার ব্যবহারের পথ। তবেই সুরক্ষিত থাকবে এই ইলেকট্রনিক যন্ত্র