School Summer Vacation: গরমের ছুটি শেষ হয়ে গেলেও গরম শেষ হয়নি। প্রচন্ড গরমে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। তার মধ্যেই খুলে গিয়েছে স্কুল। প্রতিদিন স্কুলে যেতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের নইলে শেষ হবে না সিলেবাস। কিন্তু বাড়ি থেকে বের হতেই ঘামে ভিজে যাচ্ছে স্কুল ড্রেস। সোমবার থেকে স্কুলগুলিতে শুরু হয়েছে পড়াশোনা।
বৃষ্টির পূর্বাভাস:
এরমধ্যে বৃষ্টি আসার জো নেই। কবে বৃষ্টি আসবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না হাওয়া অফিস। বুধবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে সমস্ত স্কুল গুলিতে এক নির্দেশিকা জারি করা হলো। নতুন এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, গোটা জুন মাসে ইচ্ছে মতো সময় পরিবর্তন করতে পারবে স্কুলগুলি। গরমের তাপে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসার প্রয়োজন নেই বরং অন্য সময় তাদের স্কুলে ক্লাস নেওয়া যেতে পারে।
পশ্চিমাঞ্চলের আবহাওয়া:
দক্ষিণের পশ্চিম দিকে জেলাগুলিতে এখন লু বইছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে চাইছেন না কেউ। একমাত্র পেটের তাগিদে বের হতে হচ্ছে। অন্যদিকে সিলেবাস শেষ হয়নি তাই স্কুলে ঘেমে নেয়ে আসতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। যে কোন মুহূর্তে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা। তাই আঞ্চলিক আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে স্কুলগুলি নিজেদের মতন সময় নির্ধারণ করতে পারে (Summer Vacation)।
কলকাতা ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়া:এদিকে কলকাতা এবং তৎসংলগ্ন জেলাগুলিতে আদ্রতা অনেক বেশি আর সেই সঙ্গে রোদ চোখ রাঙাচ্ছে। সোমবার থেকে স্কুল খুললেও হাতেগোনা কয়েকজনের উপস্থিতি। একপ্রকার জোড় করেই আসতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু এই অবস্থায় স্কুল করালে অবস্থা বেগতিক হতে পারে তাই দুই দিনের মধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর। যেভাবে স্কুল চলছে তাতে শিক্ষক শিক্ষিকারা আসলেও ছাত্রছাত্রীদের দেখা নেই। এছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এখনো অনেক স্কুলে রয়েছেন।
কখন হবে স্কুল:
শুধুমাত্র প্রাথমিক কিংবা উচ্চ প্রাথমিক নয় মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে প্রয়োজনে সকালের দিকে স্কুল চালানোর নিয়ম করুক, এমনটাই চাইছে শিক্ষা দপ্তর। যতদিন পরিস্থিতির বদল না হয় ততদিন এই ভাবেই স্কুল চলুক চাইছে দপ্তর। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে (Summer Vacation)।