Summer Vacation: ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্টের কথা ভেবে রাতারাতি পড়ে যায় গরমের ছুটি। নবান্ন থেকে জরুরী ঘোষণা করা হয় এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ থেকেই কার্যকর হবে গরমের ছুটি। সেই মত দেড় মাস পর গরমের ছুটি কাটিয়ে খুলেছে স্কুল।
স্কুল খুলবে না:
পুরো দমে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই আবার গরম। এই গরমে কিভাবে স্কুলে যাবেন ছাত্র-ছাত্রীরা তাই নিয়ে পড়েছিলেন দোটানায়। সকলেই অপেক্ষায় ছিলেন কখন আসবে এক পশলা বৃষ্টি। কিন্তু বৃষ্টি এলেও গরম কমার কোনো লক্ষণ নেই। উত্তরবঙ্গের যখন প্রবল বৃষ্টিতে ভিজছে ঠিক সেই সময় দক্ষিণবঙ্গ কাঠফাটা রোদে পুড়ছে। বীভৎস গরমের জন্য অনেক বাবা-মা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ ছিলেন। গরমের ছুটি বাড়ানো আর সম্ভব হয়নি তার কারণ সামনে পরীক্ষা। এতে পিছিয়ে পড়বে পড়ুয়ারা।
ছুটির আরজি:
সার্বিক দিক চিন্তা করে যেখানে অতিরিক্ত গরম পড়েছে সেখানে সকালে স্কুল করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূর্যের তাপ অনেকটা কমে গিয়েছে আকাশ মেঘলা হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। স্কুল খুলে গেলেও পঠন-পাঠনে ব্যাঘাত ঘটেছে। চলতি বছর এতই গরম পড়েছিল যে মে মাস পড়ার আগেই এপ্রিল মাসের শুরু হয়ে যায় গরমের ছুটি।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: এবার থেকে বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকলেই বিপদ! নবান্ন থেকে বড় নির্দেশ মমতার
কিন্তু ছুটি পড়লেও চিন্তা ছিল সিলেবাস শেষ করা নিয়ে। গরমের ছুটির পরে স্কুল খুললেও দেখা যায় গরমের অবস্থা একই আছে।। এদিকে বিভিন্ন প্রান্তে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে। তাতে আরো উদ্বেগ বেড়ে যায়। এর মধ্যেই আবার বাড়ানো হলো গরমের ছুটি। প্রচন্ড গরমে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতে চাইছেন না। এমনকি শিক্ষকরাও স্কুলে এসে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন।
বাড়লো ছুটি:
সেই কারণেই বাড়ানো হলো গরমের ছুটি। ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে গরমের ছুটি। উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনো বৃষ্টি হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আরজি চিঠি পাঠানো হয়েছে। গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে যেভাবে গরমের স্পেল চলছে তাতে ছুটি না দিলে কোন মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই বুনিয়াদি বিদ্যালয় গুলি ২৮ জুন উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৪ শে জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়!