Mithun Chakraborty: নকশাল আন্দোলন থেকে সোজা বলিউড। প্রথমবার তিনি মৃণাল সেনের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিলেন। ছাপোসা কালো চেহারা ছেলেটা বলিউডের ডীস্কো ডান্সার হয়ে ওঠেন। সেখান থেকে আজ তিনি একটা ব্রান্ডের নাম তৈরি করেছেন। তার দীর্ঘ অভিনয়ের ক্যারিয়ারে পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার এবং সংবর্ধনা। ছেলেদের কাছেও বাবা সুপার হিরো। মিঠুনকে নিয়ে অনেক না জানা কথা বললেন তার বড় ছেলে মহাক্ষয় চক্রবর্তী। স্কটিশ চার্চে কেমিস্ট্রি অনার্সের ছেলে মিঠুন।
তখন পুরোদমে রাজনীতি করছেন। আবার একসময় অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি চলে যান ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। কিন্তু সেখানে বিপুল পরিমাণ অর্থের খরচ খরচা বহন করা তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে পড়াশোনা ছেড়ে চলে আসতে হয় তাকে। ১৯৭৬ সালে হঠাৎ করেই তাকে চোখে পড়ে যায় মৃণাল সেনের। এই ছেলেটার মধ্যেই যেন জ্বলন্ত আগুনের শিখা দেখেছিলেন বিখ্যাত এই পরিচালক। মৃগয়া ছবিতে নবাগত মমতা এবং মিঠুনের যুগলবন্দি। তার দৃঢ় চোখের চাহনিতে অবাক হয়েছিলেন সকলেই।।
অভিনয় যাত্রা:
সেই থেকে শুরু প্রথম অভিনয় তাকে এনে দেয় জাতীয় পুরস্কার এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলা থেকে হিন্দি সর্বত্র রাজ করে বেরিয়েছেন এই ছেলেটা। সেখান থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তখন খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। অভিনেত্রী জোগিতা বালির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিয়ে করেন তাকে। দুই সন্তান নিয়ে ভরা সংসার মিঠুন এবং যোগীতার। এরপরেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে শোনা যায়। বলিউডের সুপারস্টার শ্রীদেবীর সঙ্গে মিঠুনের ঘনিষ্ঠতার কথা শোনা যায়। এমনকি তারা নাকি গোপনে বিয়েও করেছিলেন যদিও একথা স্বীকার করেননি কেউ।
মিঠুনের বি গ্রেড ছবি:
২০০০ সালের শুরুতে হঠাৎ করেই কাজ কমে যেতে থাকে মিঠুনের। সেই সময় বাধ্য হয়ে টাকার জন্য বি গ্রেড ছবিতে অভিনয় করতে হয়। যেটা মোটেই পছন্দ হয়নি ছোট ছেলে মিমোর। তবে বাবা যা করেছেন তা নিয়ে সর্বদাই গর্ববোধ করেন দুই ছেলে। যখনই ছবি ফ্লপ হত হতাশায় ডুবে যেতেন মিঠুন। আর সেই হতাশা থেকে তাকে বার করে আনতেন মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা। ফাদার্স ডের দিনে, বাবার স্মৃতিচারণে স্মৃতিমেদুর দুই সন্তান।