শাশুড়িকে তীর্থে পাঠানোর জন্য গয়না বন্ধক দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল শিমুল কিন্তু সে যে উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল তা সফল হলো না তো বটেই উল্টে তাকে কলঙ্কিত হতে হল আরো একবার। যেহেতু গয়না বন্দক দেবার কথা সে কাউকে বলতে চাইনি তাই শাশুড়ি ঘুমানোর সময় সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে এসে দেখে শাশুড়ি বর এবং দেওর দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং তার জন্য অপেক্ষা করছে।।
এটাতো রোজকার ব্যাপার কিন্তু এবারে ব্যাপারটা অন্যরকম হয়েছে কারণ শিমুলের দেওর শিমুলের পূর্ব প্রেমের কথা সকলকে জানিয়ে দেয় এবং স্বাভাবিকভাবেই এই কথা জেনে শিমুলের শাশুড়ি এবং বর দুজনেই ক্ষেপে লাল হয়ে যায়। শতদ্রুর কথা জানতে পেরে পরাগ নিজেকে আটকাতে না পেরে শিমুলের গায়ে চড় মেরে দেয় এবং শিমুল হক চকিয়ে যায়।

শতদ্রুকে নিয়ে হাজার প্রশ্ন করার মাঝে শিমুল বলে ওঠে হ্যাঁ শতদ্রু বলে আমার এক বন্ধু ছিল কিন্তু তার সঙ্গে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু আমি যদি জানতাম তোমার মত একটি জানোয়ারকে বিয়ে করছি তাহলে হয়তো কোনদিন বিয়ে করতাম না। এই কথা শুনে শিমুলকে চড় মারে পরাগ এবং সঙ্গে সঙ্গে শিমুল প্রতিবাদী হয়ে বলে যে এর ফল ভালো হবে না।
পরাগকে শায়েস্তা করার জন্য পরের দিন শিমুল পরাগের স্কুলে চলে যায় সোজা এবং সেখানে প্রিন্সিপালকে গিয়ে পরাগের নামে কমপ্লেন করে আসে। প্রিন্সিপালকে গিয়ে শিমুল বলে, আপনাদের স্কুলের শিক্ষক যে কিনা অনেক ছেলে মেয়ের দায়িত্ব নিয়েছে ভবিষ্যতের সে রোজ রাতে বউয়ের উপর অত্যাচার করে। আপনি কি এটা মেনে নেবেন?
শিমুলের এমন পদক্ষেপ দেখে রীতিমত চমকে যায় পর আগে এবং তাড়াতাড়ি বাড়িতে এসে সে জানায় যে শিমুলকে যেন কেউ আর না চটায় কারণ শিমুল যা খুশি তাই করতে পারে। তাই এখন শিমুলের সঙ্গে বেশি কথা না বলাই ভালো।