প্রেম করে পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাঁর বিয়ে প্রেম বিচ্ছেদ যেনো হার মানবে যেকেনো ধারাবাহিক, সিনেমাকে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে তাঁর প্রেম যেনো সব থেকে আলোচিত বিষয়। তবে তারা কোনো সিনেমা বা ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত না। এখানে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় কথা বলা হচ্ছে।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় একজন উকিল। তিনি বেশ কয়েক বছর আগে মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। তবে সেই বিয়ে সুখের হয় নি। তবে তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে।বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল তাকে একধিকবার শারীরিক অ-ত্যা-চার করত মনোজিৎ মণ্ডল। তিনি মনোজিৎতের শারীরিক ক্ষ-তি হতে পারে এই ভেবে চুপ চাপ মা-র খেয়ে যেতেন। তার সহকর্মী তাঁকে প্রতিবাদ করতে বলে কিন্তু ভয়ে পেয়ে রাজি হয় না।

এরপরই বৈশাখী ও মনোজিৎতের জীবনে আসে মেয়ে মেহুল। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয় নি। মেয়ের সামনেও চলত শারীরিক নির্যাতন। এরই মধ্যে একদিন মনোজিৎ তাঁকে মাঝরাতে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়। তারপরই মুখের ওপর এক খাবলা থুতু ছুঁড়ে মেরেছিল। সেই সঙ্গে বলেছিল ‘আমার পায়ের জুতো চাটতে হবে তোকে রাতে এখানে থাকতে হবে।’ সেটাও করে সারা রাত জুতোর স্ট্যান্ডের পাশে কাটিয়ে ভোর বেলায় বাবা – মায়ের কাছে ফিরে আসেন। কিন্ত তাদের কিছুই বলতে পারেনি তিনি। তবে এই পরিস্থিতির কথা একজনই জানতেন। তিনি হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
এরপরই তিনি শোভনের সঙ্গে থাকতেন। গত বছর মনোজিৎ- বৈশাখীর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রত্না মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। বৈশাখীর কথায় তিনি এখন সুখে আছেন মেয়ে মেহুল ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে।