CAA: লোকসভা ভোটের আবহেই দেশ জুড়ে সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করল নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিগত কয়েক বছর ধরে যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাই বাস্তবে রূপান্তরিত হলো ভোটের পূর্বে। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে।২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে সিএএ প্রসঙ্গ তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় CAA নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্র। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফিগানিস্তান থেকে আসা মানুষকে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যেতে হবে। একজন ব্যক্তি পরিবারের বাকিদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ করা হয়েছিল। সেই সময় এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন দেশের জনগন। মূলত অবিজেপি রাজ্য গুলি থেকেই এই প্রতিবাদ দেখা গিয়েছিল। ঠিক ৫ বছরের মাথায় ভোটের আবহে সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা করল কেন্দ্র।
সরকারি নথি অনুসারে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ধর্মীয় সহ নানা কারণে ভারতে আসা ব্যক্তিরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয় এবং কোনওভাবেই ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর আইন নয়।দেশের অন্যান্য রাজ্য ছাড়া বাংলায় এই আইনের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে পারে।
ওপার বাংলা থেকে যে লক্ষ লক্ষ শরনার্থী এদেশে এসেছিলেন তাঁরা এই আইনের দৌলতে স্বস্তি পাবেন। ইতিমধ্যেই ঠাকুরনগরে উল্লাস শুরু হয়ে গিয়েছ। তাঁরা জানিয়েছেন, ‘আজ আনন্দের দিন। আজ আমাদের খুশির দিন। মনে হচ্ছে যেন স্বাধীনতা পেলাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।’
আরও পড়ুন: LIC-এর এই পলিসিতে ৪৫ টাকা বিনিয়োগে মেয়াদপূর্তিতে পেয়ে যাবেন ২৫ লক্ষ টাকা; জানুন বিস্তারিত
জানা গিয়েছে, আজ থেকেই সিএএ সংক্রান্ত আবদেন করতে পারবেন নাগরিকরা।স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক জানিয়েছেন, ‘এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। একজনেরও নাগরিকত্ব যাবে না। এটা নিশ্চিত করে বলছি।’
সর্বশেষ খবর টলিউড অনলাইনের-এর গুগল নিউজ চ্যানেলে।
সব খবর সবার আগে জানতে অবশ্যই ফলো করুন আমাদের Google News। এছাড়াও যুক্ত হতে পারবেন সরাসরি আমাদের WhatsApp Channel এও।