Government Scheme: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর মহিলা কল্যাণের কথা ভেবেছেন। মহিলাদের স্বনির্ভর করতে এবং নতুন পরিচয় তৈরি করতে তাদের জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মহিলাদের জন্য তৈরি হওয়া এইসব প্রকল্প সমাদৃত হয়েছে আন্তর্জাতিক দরবারেও। যার মধ্যে অন্যতম রয়েছে কন্যাশ্রী। এছাড়া রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার এসব তো রয়েছে।
সমাজে পুরুষদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন মহিলারা। বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের স্বাবলম্বী করে তুলে শিক্ষিত গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। আবার বেকার যুবতীদের জন্য রয়েছে শিক্ষাশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার। মা বোনেদের জন্য রয়েছে লক্ষীর ভান্ডার। কোন কারনে যদি স্বামীর মৃত্যু ঘটে সেই ক্ষেত্রেও প্রতি মাসে ভাতা পেয়ে থাকেন বাংলার মায়েরা। এছাড়া বয়স ৬০ বছরের উপরে হলে সকলেই পেয়ে থাকেন বার্ধক্য ভাতা।
এইবার ৫৫ বছর হলেই মিলবে বার্ধক্য ভাতা:
মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে যে সমস্ত ব্যক্তির বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে তাদেরকে দেওয়া হয় বার্ধক্য ভাতা। আসলে বয়স কালের পর যাতে আর তাদের রাস্তায় বেরিয়ে খেতে না হয় কিংবা কায়িক পরিশ্রম করতে না হয় তার জন্য এই ভাতার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। প্রতি মাসে রাজ্যের তরফ থেকে তাদের আর্থিক সাহায্য করা হয়। তবে এবার ৫৫ বছর বয়স হলেই বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন যে কোনো ব্যক্তি। অবাক লাগলেও এটাই সঠিক।
বয়স যদি ৫৫ হয় তবেই আবেদন করতে পারবেন বার্ধক্য ভাতার জন্য। ৬০ বছর থেকে কমিয়ে আনা হলো আরো পাঁচ বছর! কিন্তু সকলে নয় বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা এই আবেদন করতে পারবেন। পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই আবেদন করতে পারবেন। সম্প্রতি বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য (Government Scheme)।
কত শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার:
বর্তমানে যে সকল গ্রাহকরা এই সুবিধা পাচ্ছেন তাদের সঙ্গে নতুন আরো ৫০ হাজার নাম যুক্ত হবে। তাদের বয়স ৫৫ বছর হলেই বিশেষভাবে সক্ষমরা বার্ধক্য ভাতার জন্য সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। কোথাও ছুটে যেতে হবে না বরং সরকারি পোর্টালে এই নাম নথিভুক্ত করলেই চলবে। কয়েক মাসের মধ্যেই সবকিছু যাচাই করণ করে তাদের ব্যাংকের একাউন্টে ঢুকে যাবে টাকা।
আরও পড়ুন: যুগান্তকারী রায় দিল হাইকোর্ট! এইবার মিলবে ৬ বছরের বকেয়ার সঙ্গে ডিএ!
স্বাভাবিকভাবেই বিশেষভাবে সক্ষমরা সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে থাকে। তাদের জন্য এই বার্তা সত্যিই আশীর্বাদের মতন। ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে থাকা গ্রাহকদের প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ২০০ টাকা করে ভাতা দেয়। আর বাকিটা দেয় রাজ্য। রাজ্যের ভান্ডার থেকে প্রতি মাসে ১৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়।