যেকোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে দিদি নাম্বার ওয়ান বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলেন তাদের মঞ্চ। এবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দিদি নাম্বার ওয়ানে হাজির হয়েছিলেন মায়াপুরের চার বিদেশিনী সন্ন্যাসীনি। এনাদের মধ্যে একজনের নাম শুনে অবাক হয়ে যান সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রচনাকে তিনি বলেন, তার নাম মাধুরী মহিমা। তাকে এই নাম কে দিয়েছেন জিজ্ঞাসা করাই তিনি বলেন, এই নাম তাকে তার গুরু দিয়েছেন। আসল নাম জিজ্ঞাসা করায় ওই সন্ন্যাসিনী বলেন, তার নাম জুলিয়া খড়িতনুয়া। রচনা যখন প্রশ্ন করেন এই নাম থেকে কিভাবে তিনি মহিমা হয়েছেন সেই উত্তরে সন্ন্যাসিনী বলেন, তার গুরু তাকে মায়াপুরে নিয়ে যান। মায়াপুরে গিয়ে তিনি তার সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
সন্ন্যাসিনী আরো জানান, তিনি পেশায় একজন অভিনেত্রী। একসময় তিনি শ্রীমৎ ভগবত থেকে বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেছিলেন। যে কোনো নাটকে তিনি কৃষ্ণ সাজেন। আজ গুরুর কল্যানে তিনি কৃষ্ণের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে পেরেছেন। জন্মাষ্টমী প্রসঙ্গে মহিমা বলেন, এটা আমাদের প্রিয় উৎসব। উত্তরের রচনা হেসে বলেন, এটা আমাদেরও প্রিয় উৎসব।
নিজের পরিবারের পরিচয় দিতে গিয়ে মাধুরী জানান, ‘আমার মা মুসলিম, আমার বাবা ক্রিশ্চান, আমার পরিবার ভালো, তবে সেখানে আমি ছাড়ার আর কেউ বৈষ্ণব নেই।’ আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমি ক্রিশ্চন ছিলাম, আবার আমার বোন মুসলিম ধর্মালম্বী ছিল। ভিন্ন ধর্ম, তবে আমি বুঝেছিলাম, ঈশ্বর আসলে এক। ছোটথেকেই আমি ঈশ্বরকে জানতে চাইতাম, নিরামিষাশী হওয়ার চেষ্টা করেছি, তবে তখন সম্ভব ছিল না। তারপর যখন আমি কৃষ্ণমন্দিরে গিয়ে হরেকৃষ্ণ, তখনই অনুভূতি হত, ‘মি তো এটাই চাই, এখানেই থাকতে চাই। তারপর থেকে গুরুর কাছে দীক্ষা নিয়ে ইসকনেই থেকে যাই।’