কার কাছে কই মনের কথা এমন একটি ধারাবাহিক যাতে আপনি এবং আমার মত বহু মানুষের মনের কথা প্রকাশ হচ্ছে ভীষণ সাবলীল ভাবেই। এই ধারাবাহিকটি দেখে অনেকেই নিজের জীবনের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন এবং তার জন্য হুহু করে ধারাবাহিকের টিআরপি বেড়ে চলেছে। বলাই বাহুল্য ধারাবাহিকে রয়েছেন একাধিক নামিদামি তারকারা এবং সেই তারকাদের অসামান্য অভিনয় আমাদের বারবার মুগ্ধ করেছে।
গত পর্বে আমরা দেখতে পেয়েছি শিমুলের শাশুড়ি দুই ছেলের কাছে ২০ হাজার টাকা চেয়েছেন তীর্থে যাবার জন্য। তবে দুই ছেলের কোন ছেলে মাকে এই টাকা দিতে নারাজ।। প্রত্যেকের মতে মায়ের এত টাকা খরচ করে বেড়াতে যাবার কোন প্রয়োজন নেই। বড় দিদির জন্য টাকা খরচ করার কোন ইচ্ছে নেই দুই ভাইয়ের
এই পরিস্থিতিতে শিমুল ভীষণভাবে চায় তার শাশুড়ি তীর্থে যার কারণ এতদিনে তার শাশুড়ি চার দেওয়াল ছেড়ে কোথাও বাইরে বেড়াতে যাচ্ছে কিন্তু টাকার অভাবে তা হচ্ছে না। অন্যদিকে শিমুলের শাশুড়ি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে ঘরে একা বসে রয়েছে কারণ সারা পাড়ার সামনে বড়াই করে নিজের ছেলেদের কথা বলেছিলেন তিনি। দুই ছেলের মধ্যে কেউ যদি টাকা না দেয় তাহলে কিভাবে সকলে সামনে তার সম্মান থাকবে সেই দুঃখে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন শিমুলের শাশুড়ি।

তবে শিমুল যে কোন পরিস্থিতিতেই শাশুড়ির পাশে দাঁড়াতে চায় এবং সে চায় তার শাশুড়ি মনের মত করে তীর্থ ঘুরে আসুক। কিন্তু তার কাছে আর মাত্র ৫০০০ টাকা রয়েছে যার ফলে ২০ হাজার টাকা সে এখনই দিতে পারছে না শাশুড়িকে। অনেক ভেবে চিন্তে শাশুড়ির আনন্দের জন্য শিমুল ঠিক করেছে নিজের সোনার গয়না বন্ধক থাকবে। বিপাশার সাথে ফোন করলে বিপাশা জানায়, কিছুদিন ধরে সে শাশুড়িকে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত তাই কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। শিমুল বিপাশাকে বলে সে একটি সোনার দোকানে যেতে চায়।
বিপাশা বলে সে সুচরিতার মেয়েকে একবার দেখতে যাবে তাই শিমুলকে সঙ্গে যাবার কথা বলে। শিমুল বলে ঠিক আছে কিন্তু তার বেশি সময় নেই সে সোনার দোকানে যাবে এবং আজকেই যাবে। বিপাশা জানতে চাই কোন সমস্যা হয়েছে কিনা কিন্তু শিমুল বলে পরে বলবে। এবার দেখার বিষয় শিমুল গয়না বন্ধক দিয়ে শাশুড়িকে তীর থেকে পাঠায় নাকি তার আগে মত বদল হয়ে যায় তার দেখার জন্য দেখতে থাকুন কার কাছে কই মনের কথা।