কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা প্রতিদিন যেন একটু করে বেড়ে চলেছে। ধারাবাহিকে শিমুলকে দেখে অনেকেই নিজের সঙ্গে মিল পাচ্ছেন। তবে যেভাবে শিমুল অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে তাতে সকলে মুগ্ধ হচ্ছে কারণ অনেকেই বাস্তব জীবনে এইভাবে প্রতিবাদ করতে পারে না।
সম্প্রতি শিমুল বিপাশা, সুচরিতাদের সঙ্গে ঘুরে এসেছেন মন্দারমনি। কিন্তু সেখানেও একের পর এক বিপদ তাড়া করেছে তাদের। একদিকে পুতুল সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছিল আবার অন্যদিকে সুচরিতার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সব মিলিয়ে ছুটিটাও যেন ভালো করে কাটানো হলো না।

বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই আবার অন্য বিপদ। বাড়িতে পা রাখা স্বামী এবং শাশুড়ির গঞ্জনা শুরু হয়ে যায়। শিমুল বাড়ি আসা মাত্রই পরাগ বলে, কেন শিমুল তাকে ফোন করেনি। বারবার ফোন করা সত্ত্বেও কেন শিমুল ফোন তোলেনি সেই কৈফত জানতে চায় পরাগ। উত্তরে শিমুল বলে, ফোন সে করেছিল কিন্তু পরাগ যখন ফোন করে তখন সে সুচরিতার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে তাই ফোন ধরতে পারেনি। এভাবে আস্তে আস্তে কথার উপর কথা চেপে আরো একবার মনোমালিন্য সৃষ্টি হয় শিমুল এবং পরাগের মধ্যে।

শিমুল যখন শেষ পর্যন্ত দেখে পরাগ তার কোন কথাই শুনছে না এবং তাকে ক্রমাগত দোষারোপ করে যাচ্ছে তখন বাধ্য হয়ে কিছুটা সকলের সামনেই বলে ফেলে, প্রতি রাতে পরাগ থাকে অত্যাচার করে। সবার সামনে শিমুল এই কথা বলায় রেগে ওঠেন শিমুলের শাশুড়ি। তিনি বলেন,” এই সমস্ত কথা কেন সকলে সামনে বলল শিমুল”। উত্তরের শিমুল বলে, “আমি তো সবার সামনে বলতে চাই না কিন্তু কতদিন আর নিজের কষ্ট ধরে রাখব। একদিন না একদিন সকলের সামনেই তো বলতেই হবে। তাই আজ বলেই ফেললাম”।
শিমলার এই কথা শোনার পরাগ কি শিমুলের সঙ্গে আরও অত্যাচার করবে? শিমুলের শাশুড়ি কি শিমুলকে আরো ছোট করবে সকলের সামনে? দেখতে হলে নজর রাখুন কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকে।