Kar kache Koi Moner Katha: জি বাংলায় (Zee Bangla) এক বছর আগেই শুরু হয়েছিল কার কাছে কই মনের কথা (Kar kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিক। যে ধারাবাহিকে প্রথমে দেখানো হয়েছিল একটি মেয়ে সে নতুন সংসারে গিয়ে সবার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। তার প্রধান কারণ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। স্বামী এমনকি শাশুড়ি কেউ তাকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সাধারণ দৃশ্যপটে গৃহবধূদের কোণঠাসা করে রাখার যে প্রবণতা তাই কার্যত দেখানো হয়েছিল। অন্তত দেখানো হবে বলে মনে করেছিলেন দর্শকরা। কিন্তু সেটা আর হলো কই। বরং তাতে চলে এলো গার্হস্থ্য ধর্ষণ, শাশুড়ি বৌমার মধ্যে কটু কথার স্রোত, এমনকি প্রবল মোটা দাগের হিংসা দেখানো হয়। যেটা ধীরে ধীরে দর্শকদের কাছে অসহ্য হয়ে ওঠে।
কার কাছে কই মনের কথা:
দর্শক ছাড়া এই ধারাবাহিকে অভিনয় করা অনেক কলা-কুশলীদের কাছেও অসহ্য হয়ে ওঠে গল্প। তার মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী বাসবদত্তা দত্ত। এই ধারাবাহিকে সুচরিতার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। স্বামী পরিত্যক্তা একজন নারী। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে তার একার সংসার ছিল। মারা যায় তার স্বামী। তারপরেও শ্বশুর বাড়িতে এতটুকু সম্মান পায়নি সুচরিতা। বরং সম্মান পেয়েছিলেন তার স্বামীর প্রেমিকা। এই সুচরিতা আবার নতুন জীবন শুরু করেন তার বন্ধু সঞ্জয়ের হাত ধরে।
সুচরিতার কাহিনী:
ধীরে ধীরে তার মেয়েও সঞ্জয়কে মেনে নেয়। এর পরে তারা তিনজনে আমেরিকায় থাকা শুরু করেন। এভাবেই এগিয়ে গিয়েছিল সুচরিতার গল্প। কিন্তু আগে জানলে এই ধারাবাহিকে কোনোভাবেই কাজ করতেন না বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান আমাকে যে চরিত্রটা অফার করা হয়েছিল সেটা এমন ছিল না। আগে জানলে এই গল্পটায় আসতাম না। অনেকের এটা পছন্দ হয়নি। না হওয়ার কোন কারণ দেখি না। যেভাবে মেয়েদের চরিত্রকে প্রতিফলিত করা হয়েছে তা যথেষ্ট নিন্দনীয়। প্রতিটা মেয়ের আলাদা আলাদা গল্প হবে এমনটাই বলা হয় কিন্তু শেষে গিয়ে সবকিছু একসাথে মিলেমিশে যায়। যেটা করানোর কথা হয়েছিল সেটা হয়নি। তাই স্বাভাবিকভাবেই আক্ষেপ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। অনেকেই তাকে প্রশ্ন করেছেন তুমি কেন এই চরিত্রটা করলে
কি বললেন বাসবদত্তা:
অভিনেত্রী জানান আমি যখন প্রথমে এই কাজ নিয়েছিলাম তখন গল্প অন্যভাবে শুনেছিলাম। মাঝপথে যখন নিয়ে ফেলেছি আর ছাড়া আর জায়গা নেই। তাই কাউকে সমস্যার মধ্যে না ফেলে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন এই ধারাবাহিক। তবে এই ধারাবাহিকের সেট নিয়ে যথেষ্ট সন্তোষজনক অভিনেত্রী। তিনি বলেন শনি রবিবার ছুটি থাকতো। ১৪ঘণ্টা কাজ করতে হতো না। যার ফলে অনেকটাই নমনীয়তা পেয়েছেন শুটিংয়ে। কিন্তু তারপরেও ধারাবাহিকের গল্পের এমন খেই হারানো দেখে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট অভিনেত্রী বাসবদত্তা।