আবার গন্ডগোল বাঁধলো শিমুলের বাড়িতে। শাশুড়িকে তীর্থে পাঠানোর জন্য নিজের গয়না বন্ধক দেবার উদ্দেশ্যে বিপাশাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। কিন্তু সোনার দোকানে অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে যায় এবং ফেরার সময় সুচরিতার মেয়েকে দেখে আসতে গিয়ে অনেকটাই সময় চলে যায় শিমুলের।
শিমুল বাড়ি থেকে যখন বেরিয়ে যায় তখন সে কাউকে বলে যায় না কারণ তার শাশুড়ি এবং তার ননদ দুজনেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল। দুর্ভাগ্যবশত পরাগ সেদিন খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসে এবং এসে শিমুলকে না দেখতে পেয়ে ভীষণভাবে রেগে যায়। অন্যদিকে শিমুলের ননদ বিপাশা এবং কাকিমার বাড়ি খোঁজ নিয়ে এসে বলে শিমুল কোথাও যায়নি। এ কথা শুনে আরো একবার সবাই রেগে যায়।
ভর দুপুরে কাউকে না বলে শিমুল কোথায় যেতে পারে এই নিয়ে যখন সকলে আলোচনায় ব্যস্ত ঠিক তখনই পলাশ বলে ওঠে, শিমুল কলেজ জীবনে একজনের প্রতি আসক্ত ছিল। প্রতীক্ষা নাকি একথা পলাশ কে বলেছে। স্বাভাবিকভাবেই এ কথা শুনে সকলের রেগে যায় এবং সবথেকে বেশি রেগে যায় পরাগ। পরাগ তার মাকে বলে, তাহলে তো আমি ঠকে গেলাম মা।

পাল্টা জবাব দিয়ে মা বলে, আমি তো দেখেশুনে এনেছিলাম কিন্তু তুমি মেয়েকে পছন্দ করেছিলে এবার বোঝো কেমন মেয়েকে ঘরে তুলেছি আমি। পলাশের এই কথা যে শিমুলের জীবনে আরও একটি ভয়ংকর দুর্দিন আনতে চলেছে তার স্পষ্ট হয়ে যায়। শিমুলের শ্বশুরবাড়িতে এই কথা পলাশ জানালেও শিমুল ইতিমধ্যেই নিজের পূর্ব প্রেমের কথা বিপাশা এবং সুচরিতার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে শিমুল।
এই কথা জানার পর শ্বশুর বাড়িতে কেমন সমস্যা তৈরি হবে বা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কি আবার অত্যাচার শুরু করবে শিমুলের উপর তা দেখার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে আপনাকে।।