আজকালকার মানুষের বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ রাতারাতি ভাইরাল এ পরিণত হচ্ছে। কোন মানুষের মধ্যে যদি কোন সুপ্ত জ্ঞান থেকে থাকে তাহলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই বহু মানুষ সেলিব্রেটিতে পরিণত হয়েছে, আর তার মধ্যে একজন হলেন স্মার্ট দিদি অথবা নন্দিনী দিদি।
এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নন্দিনী দিদিকে আজ কে না চেনে। নন্দিনী তার জীবনে যে কষ্ট, সংগ্রাম করে সকলের পরিচিত মুখ হয়েছে সেই কষ্টের পিছনের কারণটা কি তা নিজেই প্রকাশ করলেন এবার নেট দুনিয়ায়। জোশ টকসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নন্দিনী জানান, তিনি লকডাউনের সময় গুজরাটে ছিলেন। তখন তার বাবা হঠাৎ একদিন ফোন করে জানায় যে তার মা অসুস্থ। তখন তিনি তাড়াতাড়ি করে বাড়ি এসে বাবার পাইস হোটেলে র হাল ধরেন।

অনেকে এমন সুন্দরী প্যান্ট শার্ট পরা মেয়ের পাইস হোটেল চালানো দেখে প্রশ্ন করলে নন্দিনী দিদি জানান তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই তার এই সেক্রিফাইস। বর্তমানে বাবার পাইস হোটেলের ব্যবসায় যোগ দিলেও আদতে তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। নোট বন্দির সময় তার বাবার আগের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যায় তখনই সংসারের হাল ধরার জন্য এই পাইলস হোটেলের ব্যবসা শুরু করেন তার বাবা। প্রথমদিকে অল্প অল্প করে বিক্রি হলেও তারপর ভাইরাল হওয়ার পর এখন বিদেশ থেকেও লোকজন খেতে আসে এই হোটেলে।
জীবনে এত সংগ্রাম করে এগিয়ে যাওয়ার পরেও যখন কিছু মানুষ হিজড়া বলে কটাক্ষ করেন, তখন তাদের মানসিকতা দেখে খারাপ লাগে নন্দিনী দিদির। এই কথা জানাতে গিয়ে চোখে জল চলে আসে তার। অনেক কষ্ট করার পরেই আজ জীবনে তিনি সফল। বর্তমানে চুটিয়ে চলছে তার পাইস হোটেলের ব্যবসা।
আরও পড়ুন: মেয়েদের জন্য বড় যোজনা! সরকারের এই যোজনাতে প্রতি মাসে অল্প টাকা জমালেও মিলবে মোটা টাকা রিটার্ন