কথায় আছে ‘ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়’। আসলে শুধুমাত্র ইচ্ছে দিয়ে কিছু হয় না। এই ইচ্ছেটাকেই বানাতে হয় অধ্যবসায় আর জেদ। তারপর নিজের স্বপ্ন অনায়াসেই পূরণ করা যায়। এই কথার সত্যতা প্রমাণ করেছেন দস্যি কন্যা লক্ষী। তিনি একজন মহিলা পর্বতারোহী। এবার পর্বতারোহন করে নজির স্থাপন করেছেন। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তিনি এই জয় ছিনিয়ে এনেছেন। লক্ষ্মীর পরিবারে চার ভাই আর বোন রয়েছে। তিনি সব থেকে ছোট।

তার বাবা আর বেঁচে নেই। মা লোকের বাড়িতে রান্নার কাজ করে। এই ভাবেই তাদের সংসার চলছে। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই তাদের জীবনে যুদ্ধ শুরু হয়। তার বড় ভাই শ্যাম একটি বইয়ের দোকান চালান। আর লক্ষী নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান। পড়াশোনার মাঝে এই পাহাড়ে চলার প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন তিনি। দরিদ্রতা পা আটকে ধরতে চাইলেও তার অদম্য ইচ্ছা, সাহস আর জেদের কাছে হার মেনে যায়। লক্ষ্মী মাত্র ২ ঘন্টায় উত্তরাখণ্ডের চন্দ্রশীলা মন্দিরে সফলভাবে আরোহণ করেন। এটি ৪০০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। সেই মন্দিরে উঠে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এরপর তিনি আফ্রিকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নানা বাধা পেরিয়ে আফ্রিকায় নতুন সফলতা লাভ করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমাঞ্জারো তে আরোহন করেন লক্ষী। সেখানেও ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়াতে বলেননি। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ যেন দেশের মুকুটে আরো একটি নতুন পালক জুরে গেল। দেশের প্রতিটি ঘরের মানুষ এখন লক্ষ্মীর জন্য গর্ব অনুভব করছেন। তার এই কাজে গর্বিত গোটা দেশবাসী। তবে লক্ষ্মী তার এই সফলতার পুরোপুরি কৃতিত্ব দিয়েছেন তার মা কেই। লক্ষ্মী এবার মাউন্ট এভারেস্টে যেতে চায়। তার জন্য প্রস্তুতি নেয়াও শুরু করে দিয়েছেন।