লেটেস্ট খবরবিনোদনভাইরাললাইফ স্টাইলরেসিপি

শাশুড়ির অত্যা’চার, ডুবে ম’রার হুমকি এল শিমুলের থেকে, এবার কি শুধরোবে পরাগ? টিভির আগেই ফাঁস

Published on:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

জি বাংলায় (Zee Bangla) শুরু হয়েছে বেশ কয়েকটি নতুন ধারাবাহিক। সেই ধারাবাহিক গুলির মধ্যে থেকে এখন সব থেকে বেশি চর্চায় রয়েছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kache koi moner kotha)। টেলিকাস্ট হওয়ার পর থেকেই স্লট জিততে শুরু করেছে এই ধারাবাহিক। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেরা দশে‌ জায়গা তৈরি করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক! মা ছেলের ফুলশয্যা, শাশুড়ি বৌমার কুটকাচালি আর পারিবারিক কলহনের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বারংবার ট্রোল হতে হয় ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকটিকে। এই ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন মানালি দে (Manali Dey)। তাঁর চরিত্রের নাম শিমুল (Shimul)। তাঁর ওপরেই শ্বশুরবাড়ির যত মানসিক নির্যাতন চলে। এতদিন পর্যন্ত এই চরিত্রটির উপর কেবলমাত্র মানসিক নির্যাতন হয়েই এসেছিল, কিন্তু এবার তা রূপ নিয়েছে শারীরিক নির্যাতনেরও। এমনই বক্তব্য এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শকদের।

যত দিন যাচ্ছে শিমুল চরিত্রটি দর্শকদের কাছে তত বেশি আপন হয়ে উঠছে। বহুদিন পর এমন এক প্রতিবাদী চরিত্রের দেখা পেলেন বাংলা ধারাবাহিকের দর্শকরা। এই ধারাবাহিকে যেমন নাটকীয়তা (Dramatic) রয়েছে তেমনভাবেই রয়েছে বাস্তবতা। এই দুই দিকের কারণেই ধারাবাহিকটি বেশি করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। ধারাবাহিকটি শুরু হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিমুল এমন একটি চরিত্র যা সমাজে মেয়েদের অবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে। গৃহস্থ বাড়ির মেয়ে বউরা শিমুলের সাথে নিজেদের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। এখন ধারাবাহিকে দেখা গেছে বাড়ির বাইরে তালা দিয়ে শিমুল আর পুতুল বিপাশার বাড়ি চলে যায়।

WhatsApp Group Join Now

এই কারণে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের কাছে অপমানিত হতে হয় শিমুলকে। প্রথম থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকের কাছে দোষী সে। পরাগ যেন শিমুলকে শাস্তি দিতে পারলেই শান্তি পায়। আর এর ওপর জুটেছে তার দেওর পলাশ। সে যেন বৌদিকে কথা শোনানোর পণ নিয়েছে। শিমুলের সব কাজ তার বাড়িতে ফোন করে জানান শিমুলের শাশুড়ি। শিমুল অনেক অনুরোধ করলেও তার কথা কেউ শোনেনি। এর মাঝে একমাত্র পুতুল পাশে ছিল শিমুলের। শিমুলকে সাপোর্ট করার জন্য পলাশ নিজের দিদির গায়ে হাত তোলে। সেই সময় শিমুল তাকে বাঁচায়। আর পলাশকে কিছু কথা শুনিয়ে দেয়। এরপর থেকেই ঘটনা এগিয়ে যাচ্ছে। শিমুল ওই বাড়ি ছেড়ে কিছুতেই যেতে রাজি হয় নি। এমন পরিস্থিতিতে বলা হয় শিমুল নিজের দোষ স্বীকার করে যদি নাক খত দেয় তাহলেই রেহাই মিলবে।

Kar kache koi moner kotha
Kar kache koi moner kotha

উল্টোদিকে শিমুলের শ্বশুরবাড়িতে তার দুই দাদা এলেও, ফিরিয়ে নিয়ে যেতে রাজি তারা হয়নি। ছেলেদের ভয়ে শিমুলের মাও তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সাহস পাননি। উল্টে মেয়েকেই বকাবকি করেন। কিন্তু মায়ের মন তো! শিমুলের চোখের জল দেখে তিনি আর স্থির থাকতে পারেননি। শেষে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান মেয়েকে। কিন্তু সে মোর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সে কোনদিন বাপের বাড়ি ফিরবে না। এমনকি অষ্টমঙ্গলাতেও সে বাপের বাড়ি যাবে না বলেই জানিয়ে দেয়। স্পষ্টভাবে সে বলে, ‘শ্বশুর বাড়িতে জায়গা না হলে দুচোখ যেদিকে যায় চলে যাব। আর কিছু না হলে গঙ্গায় ডুবে মরব।’ এই কথায় মায়ের ওপর তীব্র অভিমান ধরা পড়েছে শিমুলের।

শিমুল নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। প্রথমদিকে কোনমতেই স্বামী আর সংসার ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি। কিন্তু নিজের মায়ের অপমান দেখে জামা কাপড় গোছাতে যায় সে। সেই সময় তার শাশুড়ি তাকে আটকে দেয়। আর নাক খত দিতে বলে। শিমুলের বাড়ির লোক বারবার তাকে এই কাজ করতে না করে। কিন্তু নিজের পরিবারের কথা ভেবে সে এই কাজ করতে তৎপর হয়। এই দৃশ্য দেখে‌ ক্ষিপ্ত হয়েছেন দর্শকরা।

About Author
Adhrit Roy

বিগত প্রায় চার বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেকোনো ধরণের জেনারেল নিউজ লেখায় পারদর্শী।

Leave a Comment