Pohela Boishakh Halkhata: আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে, ১৪৩১ সালের শুরু হলো। চৈত্র সংক্রান্তির পরের দিন আরও একটি নতুন বছরের শুরু হয়। এই দিনটিকে হালখাতা হিসাবেও পালন করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। বহু বছর ধরে পয়লা বৈশাখের সঙ্গে হালখাতার এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বর্তমান। নববর্ষের দিন প্রতিটি দোকানে লক্ষ্মী গণেশের সঙ্গে হালখাতাও পূজা করা হয়ে থাকে। ব্যবসার নতুন খাতায় স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে নতুন হিসাবনিকাশ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। তবে জানেন ব্যবসায়ীদের এই খাতাকে কেন হালখাতা বলা হয়! এর পিছনে আসল কারণই বা কী!
Pohela Boishakh Halkhata:
![Pohela Boishakh Halkhata](https://www.tollywoodonline.in/wp-content/uploads/2024/04/Poila-Baishakh-Halkhata.jpg)
আসলে এক সময় মানুষ ছিল যাযাবর। লাঙলের ব্যবহার শেখার পর মানুষ এক জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শেখে। শুরু হয় চাষাবাদ। আর এরপর থেকেই ফসলের বিনিময়ে অন্য জিনিস নেওয়া অর্থাৎ বিনিময় প্রথা শুরু হয়। এই বিনিময় প্রথা থেকেই শুরু হয় ব্যবসা এবং দোকানদারির চল। সেই সময় থেকেই দ্রব্য-বিনিময়ের হিসাব শুরু হয় খাতায়, আর সেই খাতার নাম হয় হালখাতা।
![Pohela Boishakh Halkhata](https://www.tollywoodonline.in/wp-content/uploads/2024/04/Poila-Baishakh-Halkhata-2.jpg)
তবে পয়লা বৈশাখের সঙ্গে হল খাতার কোনো সম্পর্ক নেই। কাকতালীয় ভাবেই এক হয়ে গিয়েছে দুটি দিন। অনেকের মতে, হাল শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ও ফারসি দুটি ভাষা থেকে। সংস্কৃতে ‘হাল’ শব্দের মানে লাঙল, তা থেকে বাংলায় ‘হাল’ এসেছে। ফরাসি থেকে আসা ‘হাল’ শব্দের অর্থ হলো নতুন। কিন্তু এই হালখাতার সঙ্গে ইতিহাসও যুক্ত রয়েছে।
পুরনো কলকাতার বাবু কালচারে ইংরেজি নববর্ষের উপলক্ষে উৎসবের আয়োজন করা হলেও বাংলা নববর্ষ নিয়ে কোনো মাতামাতি ছিল না। কবি ইশ্বচন্দ্র গুপ্ত ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে লিখেছিলেন, “খৃস্ট মতে নববর্ষ অতি মনোহর। প্রেমাননন্দে পরিপূর্ণ যত শ্বেত নর।/ চারু পরিচ্ছদযুক্ত রম্য কলেবর। নানা দ্রব্যে সুশোভিত অট্টালিকা ঘর।” সেই সময় খুব সাধারণভাবে কয়েকটি পুজো করা হতো। চড়ক পার্ব্বন’ নকশায় বাংলা নববর্ষের কথায় লেখা হয়েছিল ”
![Pohela Boishakh Halkhata](https://www.tollywoodonline.in/wp-content/uploads/2024/04/Poila-Baishakh-Halkhata-1.jpg)
ইংরেজরা নিউ ইয়ারে বড় আমোফ করেন। আগামীকে দাড়াগুয়া পান দিয়ে বরণ করে নেনে। আর বাঙালিরা বছরটা সজনে খাড়া চিবিয়ে ঢাকের বাদ্দি আর রাস্তার ধুলো দিয়ে পুরানকে বিদায় দেন। কেবল কলসি উচ্ছূর্গ কর্তারা আর নতুন খাতাওয়ালারাই নতুন বছরকে মনে রাখেন।” এই লেখনি থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে হালখাতার কথাই বলা হয়েছে। তবে সেই সময়কার বাংলা নববর্ষ উদযাপনে যে তেমন কোনো তোড়জোর ছিল না তাও বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Srabanti Chatterjee: ‘বুড়ি লাগছে পুরো…’ ট্রেন্ডিং গানে নেচে কটাক্ষের শিকার শ্রাবন্তী!