Rath Yatra 2024: আগামীকাল রথযাত্রা। এই রথযাত্রা নিয়ে রয়েছে নানান জনশ্রুতি। এছাড়া এই রথ যাত্রার পৌরাণিক ভিত্তিও রয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নাকি জগন্নাথের রূপ ধারণ করে গোটা বিশ্ব পরিক্রমা করেছিলেন রথের মাধ্যমে। আর তার সঙ্গে ছিলেন দাদা বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রা। পুরীতে মহাসমারোহে পালিত হয় এই রথযাত্রা। এবারেও 7 জুলাই রবিবার রথযাত্রা(Rath Yatra 2024)। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথি থেকে শুরু হয় এই রথ। এরপর দশমী তিথিতে শেষ হয় রথযাত্রা। সেদিন পালিত হয় উল্টোরথ।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এক অবতার এই ভগবান জগন্নাথ। তিনি জগতের পতি অর্থাৎ জগতের নাথ। জগন্নাথ তার বড় দাদা বলরাম এবং তার ছোট বোন সুভদ্রাকে নিয়ে রথ যাত্রায় সামিল হন। ওড়িশার পুরি শহরের রথযাত্রার জন্য বিরাট কার্নিভালের আয়োজন করা হয়। শুধু পুরী নয় বরং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে এই রথযাত্রা সাড়ম্বরে পালিত হয়। কিন্তু এই রথের পিছনে কি এমন কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Rathyatra 2024: জানেন কেন পালিত হয় রথযাত্রা? জানুন নেপথ্যের ৯টি অজানা তথ্য
মনে করা হয় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রায় যিনি অংশগ্রহণ করেন তার পূর্ণ অর্জন হয়। সেই পূর্ণ এক হাজার যজ্ঞের সমান। শ্রীকৃষ্ণ বলরাম সুভদ্রার সঙ্গে এই রথ যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয় অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে। পুরীতে রয়েছে জগন্নাথ দেবের 800 বছরের পুরনো একটি মন্দির. সেখানে ভগবান রুপে বিরাজ করেন শ্রীকৃষ্ণ!
রথ যাত্রার সূচনা:
কিভাবে শুরু হয়েছিল এই রথযাত্রা! এর পিছনে কি তাৎপর্য রয়েছে! ধর্ম অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণ এবং বলরামের কাছে তাদের বোন সুভদ্রা আবদার করেছিলেন তিনি গোটা শহর ঘুরে দেখবেন!বোনের কথা তো রাখতেই হবে, তাই দুই ভাই বিশাল এক রথ বানিয়ে বোনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন নগর পরিক্রমায়! তিনজনের জন্য তিনটি আলাদা আলাদা রথ প্রস্তুত করা হয়েছিল! প্রথমে পুরি থেকে সোজা চলে যান গুন্ডিচা মন্দিরে! 7 দিন সেখানে অবস্থান করে আবার নিজেদের বাড়িতেই ফিরে আসেন এই তিন ভাই বোন! মাসির বাড়িতে গিয়ে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন জগন্নাথ সেখানে মাসি তাকে সেবার সুশ্রূষা করেন!
রথের কাঠ:
জগন্নাথ এবং তার ভাই বোনেরা যে রথে চরেন তা তৈরি করা হয় নিম কাঠ দিয়ে। কাঠ ছাড়া আর কিছুই ব্যবহার করা হয় না। প্রতিটি রথে রয়েছে 16 চাকা। তবে জগন্নাথের রথ বলরাম এবং সুভদ্রা চাইতে অনেকটাই বড় হয়। তিনজন সুসজ্জিত হয়ে যখন রাজপথ দিয়ে যান তখন পুরীর রাজা গজপতির পালকি আসে। তিনি সোনার ঝাড়ু দিয়ে রথ এবং রথ যাত্রার পথ পরিষ্কার করে দেন। প্রতিবছর একটি বিশেষ সমাধিতে থেমে যায় এই রথ।
জগন্নাথের মুসলিম ভক্ত:
কিছু সময়ের জন্য মুসলিম ভক্ত শালবেগার সমাধির কাছে থেমে যায় এই রথ। জগন্নাথ দেবের ভক্ত জগন্নাথ দেবের দর্শন পাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন কিন্তু পৌঁছাতে পারেননি। তার আত্মার শান্তি কামনা করার জন্য স্বয়ং ভগবান তার সমাধির কাছে আসেন।
আরও পড়ুন: Rath Yatra 2024: যেকোনো পেরেক বা কাঠে তৈরি হয়না প্রভুর রথ! জানুন রথযাত্রার অজানা কাহিনী!