ধারাবাহিক জগতের বিখ্যাত অভিনেত্রী ছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Oindrila Sharma)। প্রায় এক বছরের কাছাকাছি সময় ধরে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সাথে লড়াই করেছেন তিনি। সেই সময় পাশে পেয়েছিলেন পরিবারকে। আরও একজন নিরন্তর তার পাশে ছিলেন। তিনি হলেন ঐন্দ্রিলা শর্মার প্রেমিক বিখ্যাত অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। প্রবল শারীরিক কষ্ট সহ্য করলেও মানসিক কষ্ট সহ্য করতে হয়নি তাকে। এর কারণ সব্যসাচীর ভালোবাসা ও কেয়ার। এক রাতে হঠাৎই ব্রেন স্ট্রোক হয় তার। তাই কোমায় ছিলেন তিনি।
সাময়িক ধাক্কা কাটিয়ে অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ার মুখ খুলেছিলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছিলেন, “ঐন্দ্রিলার বিষয়ে অযথা নেতিবাচক খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। কিছু নিম্নমানের তথাকথিত মিডিয়ার ভুয়ো খবরে নিজেদের বিভ্রান্তি বাড়াবেন না। অথবা ওর বাড়ির লোককে বিরক্ত করবেন না। আমি এখনও অবধি কোনও সংবাদমাধ্যমের সাথে যোগাযোগ করিনি, সাক্ষাৎকার দিইনি, দেবও না।

শুধু জেনে রাখুন মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে, সাথে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল। নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না।” ঐন্দ্রিলার প্রতি সব্যসাচীর এই দায়িত্ব, কর্তব্য, ভালবাসা দেখে বর্তমান জেনারেশনকে অবাক হতেই হচ্ছে। যেই সময় বিশ্বাস ভাঙার, ভালোবাসায় কষ্ট দেওয়ার প্রচুর নজির আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেখানেই এমন পবিত্র, নিষ্পাপ ভালবাসা দেখতে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। এরপর আবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল ঐন্দ্রিলার।
ঐন্দ্রিলা শর্মার লড়াইয়ের সাক্ষী ছিল গোটা বাংলা। তিনি আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন আমাদের মধ্যে। এবার মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সব্যসাচী বলেছেন, ‘২৫ বছর সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ও চলে গেল। এর মধ্যেও ও যে কটা কাজ করেছে, তাতেই ওকে মানুষ মনে রেখেছে। একজন শিল্পী হিসেবে এটা বিরাট প্রাপ্তি। ওর বাবা-মা এসেছিলেন। এটা তাঁদের কাছে একদিকে যেমন কষ্টের মুহূর্ত, তেমন গর্বেরও বটে।’