জি বাংলায় (Zee Bangla) শুরু হয়েছে বেশ কয়েকটি নতুন ধারাবাহিক। সেই ধারাবাহিক গুলির মধ্যে থেকে এখন সব থেকে বেশি চর্চায় রয়েছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kache koi moner kotha)। এই ধারাবাহীকে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন মানালি দে (Manali Dey)। এই চরিত্রের নাম শিমুল (Shimul)। যত দিন যাচ্ছে শিমুল চরিত্রটি দর্শকদের কাছে তত ভালো লাগছে। বহুদিন পর এমন এক প্রতিবাদী চরিত্র উপহার পেয়েছে দর্শকরা। এই ধারাবাহিকে যেমন নাটকীয়তা (Dramatic) রয়েছে তেমনভাবেই রয়েছে বাস্তবতা। আর এই দিক দুটির কারণেই ধারাবাহিকটি বেশি করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
গৃহস্থ বাড়ির মেয়ে বউরা শিমুলের সাথে নিজেদের মিল খুঁজে পাচ্ছে। মূলত এই কারণেই টিআরপি তালিকায় বেশ ভালো ফল করেছে এই ধারাবাহিক। এখন ধারাবাহিকে দেখা গেছে বাড়ির বাইরে তালা দিয়ে শিমুল আর পুতুল বিপাশার বাড়ি চলে যায়। এই কারণে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের কাছে অপমানিত হতে হয় শিমুলকে। প্রথম থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকের কাছে দোষী। পলাশ যেন শিমুলকে শাস্তি দিতে পারলেই শান্তি পায়।
শিমুলের সব কাজ তার বাড়িতে ফোন করে জানান শিমুলের শাশুড়ি। শিমুল অনেক অনুরোধ করলেও তার কথা কেউ শোনেনি। এর মাঝে একমাত্র পুতুল পাশে ছিল শিমুলের। শিমুলকে সাপোর্ট করার জন্য পড়া রাস্তা দিদির গায়ে হাত তোলে। সেই সময় শিমুল তাকে বাঁচায়। আর পলাশকে কিছু কথা শুনিয়ে দেয়।
পলাশের এতে ইগো হার্ট হয়। আর সে নিজের মাকে বলে, ‘এই সমস্ত হতে থাকলে আর এই মেয়েটা এই বাড়িতে থাকলে, আমি আর এখানে থাকবো না। বাড়ি ছেড়ে চলে যাব।’ বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেও, নিজের মেয়ে হয়ে জবাব দেন শিমুলের শাশুড়ি। তিনি বলেন, ‘… মেয়েটাকে তো মেরে ফেলতে পারিনা, বাপ মরা মেয়ে আমার। প্রথম সন্তান। … কিছু করলেই ওর গায়ে হাত তুলিস, ওকে গালাগালি করিস, কই বাজারে গেলে ওকে তো দুটো মিষ্টি এনে দিস না? ও কিন্তু ভালো মন্দ কিছু খাওয়ার আগেই জিজ্ঞাসা করে ভাইদের জন্য আছে কিনা। কই তোকে তো কখনো দেখিনি ওর জন্য ভাবতে। … এত অসুবিধা হলে ঠিক আছে চলে যা।’ এই প্রথম দর্শকরা পুতুলের হয়ে প্রতিবাদ করতে দেখল তার মাকে।
মা ছেলের ফুলশয্যা, শাশুড়ি বৌমার কুট কাচালি আর পারিবারিক কলহনের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হতে হচ্ছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকটিকে। ধারাবাহিকটি শুরু হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিমুল এমন একটি চরিত্র যা সমাজে মেয়েদের অবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে।
একদম বাস্তব দিক থেকে উঠে এসেছে এই সিরিয়ালে (Kar kache koi moner kotha plot)। তবে অন্যান্য চরিত্রের মতো মুখবুদের সহ্য করছে না শিমুল। প্রতিটি লাঞ্ছনা গঞ্জনার যুক্তিসহ উত্তর দিচ্ছে সে। ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকের বিপরীতে যেসব প্রস্তুত ধারাবাহিক গুলি রয়েছে সেগুলিতে অতি নাটকীয়তা দেখতে পাওয়া যায়। শিক্ষণীয় কোন বিষয়ই নেই এসব ধারাবাহিক। কিন্তু সেই সব দিক থেকে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিক অনেকটাই স্বতন্ত্র।