বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের হাতেই স্মার্টফোন দেখা যায়। আর এই স্মার্টফোনে আজ গোটা দুনিয়া এসে হাজির হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়ার এত বাড়বাড়ন্ত যে, এই যুগকে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগও। বলা যায় সোশ্যাল মিডিয়ার যেমন অনেক ভালো দিক আছে তেমন বেশ কিছু খারাপ দিক রয়েছে। তবে সেই সমস্ত খারাপ দিক -কে ছাপিয়ে গেছে ভালো দিকগুলি। যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়া আজ এত পপুলার। সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমরা সাধারণত বুঝে থাকি ইউটিউব (youtube), ফেসবুক (facebook), টুইটার (twitter), ইনস্টাগ্রাম (instagram) ইত্যাদি -কে।
বেশ কিছু বছর আগে প্রতিভা (Talent) থাকলেও জনপ্রিয়তা পাওয়া খুবই কষ্টের ছিল। কিন্তু আজ তা সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই মানুষ আজ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। যদি কারোর মধ্যে প্রতিভা থাকে তাহলে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যেতে পারে সে।

আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় বিভিন্ন ধরনের খবর পাই। আর বিশেষত তারকাদের সবরকম খবর আমরা পেয়ে যাই সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতেই। তাঁদের জীবন যাপন সম্পর্কে জানার আগ্রহ সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। তাই তাঁদের ফলোয়ার্স সংখ্যাও প্রচুর। তেমনই একজন তারকা হলেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি।
অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী সম্পর্কে কমবেশি আমরা সকলেই জানি। তিনি প্রফেশনাল লাইফের তুলনায় পার্সোনাল লাইফ নিয়ে বেশি লাইম লাইটে থাকেন। এহেন সুন্দরী অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী ২০০৩ সালে পরিচালক রাজীবকে (Rajib) বিয়ে করেন। তাঁদের ঘর আলো করে আসে পুত্র সন্তান অভিমন্যু (Abhimanyu ) ওরফে ঝিনুক।
পরে অবশ্য তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০১৬ সালের জুলাই মাসের তৎকালীন প্রেমিক কৃষাণ বিরাজ (Krishan Viraj) কে বিয়ে করেন তিনি। ২০১৭ এর আগস্ট মাসে সেই সংসারেও ভাঙ্গন ধরে। এরপর ২০১৯ সালের ১৯শে এপ্রিল তৎকালীন প্রেমিক রোশান সিংয়ের (Rosha Singh ) সঙ্গে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী (Shrabanti Chatterjee)। কিন্তু সেই ই সংসারও বেশি দিন টেকেনি।

সম্প্রতি একটি ইন্টারভিউতে তিনি জানিয়েছেন, আর বিয়ছ করতে চান না। এমনকি নতুন করে প্রেমের সম্পর্কেও জড়াতে চান না। এখন কাজই তার প্রেম। তবে অভিনেতা জিতু কমল ও নবনীতার বিবাহ বিচ্ছেদের পিছনে তিনি রয়েছেন এমন কথা রটায় তিনি খুব দুঃখ পেয়েছেন। অবশ্য একটি লাইভে নবনীতা নিজেই জানিয়েছেন কোনো তৃতীয় ব্যক্তির কারণে তাদের সংসার ভাঙেনি।