ছোটবেলায় মাকে হারিয়েছেন, মাধ্যমিক দিয়ে ফিরে করতে হয়েছিল বাবার সৎকার! ‘নিম ফুলের মধু’র পর্ণার জীবন সিনেমাকেও হার মানাবে

0
14

গৃহস্থের বাড়িতে সন্ধ্যের পর থেকে চলতে থাকে একের পর এক ধারাবাহিকের পালা। সম্প্রতি ‘জি বাংলা’ (Zee Bangla) -য় শুরু হয়েছে ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem phuler modhu) নামক ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে রয়েছেন রুবেল দাস (Rubel Das) ও পল্লবী শর্মা (Pallabi Sharma)। তাঁদের চরিত্রের নাম যথাক্রমে সৃজন (Srijan) ও পর্ণা (Parna)। এই জুটি অল্প সময়ে দর্শকদের বেশ ভালো লেগেছে।

তবে জানা যাচ্ছে সিরিয়ালের শুটিং করতে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছেন সৃজন চরিত্রের অভিনেতা রুবেল দাস। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে আগামী দেড় মাস ছুটিতেই থাকতে হবে তাঁকে। নায়ক বিহীন সিরিয়াল! এই কথা ভেবেই মন খারাপ হয়ে গিয়েছে দর্শকম মহলের। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ধারাবাহিকটি শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন কারণে ট্রোল হয়ে আসছে। প্রায়শই এই ধারাবাহিকটিকে তুমুল ট্রোলিং এর শিকার হতে হয়। তবে টিআরপি আনতে মাঝেমধ্যে এই ধরনের আজগুবি ঘটনা ইচ্ছা করেই সিরিয়ালে দেখানো হয়ে থাকে।

সিরিয়াল (Neem phuler modhu) ট্রোল হওয়ার সাথে সাথে টিআরপি বেড়ে যায়। এটাই হয়তো চাইছেন সিরিয়ালের নির্মাতারা। এই কারণেই হয়তো সম্প্রতি আবার এমনই ঘটনা ঘটিয়েছেন পর্না। পর্না (Parna) এই ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র। তাঁকে এখন ‘দত্ত বাড়ির জিনিয়াস বৌমা’ বলা হয়ে থাকে। আসলে সব ব্যাপারে আগ বাড়িয়ে নিজের মতামত গছিয়ে দেওয়ার স্বভাবের কারণেই এমন নাম পেয়েছেন দর্শক মহলে।

কখনো ‘নিম ফুলের মধু’ -র পর্না আবার কখনো ‘কে আপন’ কে পর’ -এর জবা। তাকে বিভিন্ন চরিত্রে দেখা গেলেও তার জীবনটাই আসলে সিনেমার গল্প। পল্লবী শর্মা বর্তমানে একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী। এই পথ কখনোই সহজ ছিল না তার জন্য। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজকের এই সফলতা পেয়েছেন তিনি। খুব ছোট বয়সে এই পল্লবী তার বাবা আর মাকে হারিয়েছিলেন। তিনি যখন ক্লাস টু এ পড়তেন, সেই সময় তার মায়ের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে‌। হঠাৎ একদিন তার মা মারা যায়। এরপর থেকে মানুষ হন পিসির কাছে। পল্লবের পিসি যুক্ত ছিলেন অভিনয় জগতের সাথে। তাই পিসির সাথে বহুবার সেটে গিয়েছেন তিনি।

এরপর মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় তার বাবা ও মারা যান। পরীক্ষা দিয়ে এসে বাবার শেষকৃত্য করেছিলেন তিনি। জীবনের প্রতি পদে পদে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে। এক সময় তার পিসিও মারা যান। এখন তার পরিবার বলতে দাদা বৌদি আর ছোট ভাইজি। ছুটির দিনে পরিবারের সাথে সময় কাটাতেই বেশি পছন্দ করেন পল্লবী।