Government App: হু হু করে বেড়ে চলেছে জমির দাম। শহর তো বটেই এমনকি গ্রামাঞ্চলেও জমির দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। যার কাছে জমি সম্পত্তি রয়েছে তিনি এখন রাজা। এদিকে যার নেই তাকে সারা জীবন সঞ্চয় করে একটা জমি কিনতে হচ্ছে। এই জমি কেনা বেচা করতে গিয়ে আবার চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয় কাউকে কাউকে। বর্তমানে জমির দালাল এবং মাফিয়াদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। মাফিয়াদের হাত না ধরলে ভালো জমি পাওয়া যাবে না। এদিকে জমি সম্পর্কে অনেকেরই তেমন জ্ঞান নেই।
আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক বেশি দামে জমি কেনা বেচা করছেন একদল মাফিয়া। আবার ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে জমি দেওয়ার নাম করে ফন্দি করা হচ্ছে। একাংশ স্বার্থান্বেষী মানুষ মানুষকে ঠকিয়ে তাদের কার্য হাসিল করে নিচ্ছে। তবে জমি কিনতে এবার আর ঠকতে হবে না। তারই ব্যবস্থা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government App)। জমির ডায়নামিক ভ্যালুয়েশন চালু করবার কথা ভাবছে রাজ্য। তাতে আর মাফিফাদের কাছে বেশি টাকা দিয়ে জমি কিনতে হবে না। যেখানে এলাকার যত উন্নয়ন হবে সেই অনুযায়ী নির্ধারিত হবে জমি বাড়ির দাম।
হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের সাহায্যেই জানতে পারবেন জমির ভ্যালুয়েশন:
কোথায় কত জমির দাম এবং বাড়ির মূল্য তা দেখে নিতে পারবেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থাৎ জমি এবং বাড়ির ভ্যালুয়েশন চেক করতে পারবেন নিজের হাতের কাছে থাকা স্মার্টফোনে। কিন্তু হঠাৎ করে এই কড়াকড়ি ব্যবস্থা কেন নিয়েছে রাজ্য। মহামারির সময় স্ট্যাম্প ডিউটিতে অনেক ঘাটতি পড়েছিল। এবার সেই ঘাটতি পূরণ করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। জমির সরকারি ভ্যালুয়েশন কিভাবে বুঝবেন। কোন জমি কিংবা বাড়ি কেনাবেচার ক্ষেত্রে স্টাম্প ডিউটি অনুযায়ী ভ্যালুয়েশন তৈরি করা হয়। জমির মৌজা প্লট জমির পরিমাণ সামনের দিকে কতটা রাস্তা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে লিপিবদ্ধ থাকবে। শুধু বাড়ি নয় ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রেও টোটাল কার্পেট এরিয়া লেখা থাকবে। সামনের দিকের চওড়া রাস্তা এবং লিফট পার্কিং সমস্ত সুবিধা রয়েছে কিনা সেটাও দেখা যাবে।
যে জায়গা যত বেশি উন্নত সেই অনুযায়ী জমির দাম নির্ধারণ করা হবে। যেমন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে যদি তৈরি হয় ইন্ডিয়ান অয়েল ফ্যাক্টরি। তবে সেখানে অনেকখানি বেড়ে যাবে জমির মূল্য। রাজ্যবাসী যাতে জমি কেনার আগে তার আসল মূল্য জেনে নিতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী অর্থ নির্ধারণ করতে পারবেন তা দেখার জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হবে। জমির যাবতীয় তথ্য সেখানে নথিবদ্ধ থাকবে। এর আগে ইউরোপের সুইজারল্যান্ড দেশে এরকম নিয়ম চালু করা হয়েছে। এবার বাংলাতেও একই নিয়ম চালু করা হবে।