বর্তমান যুগের সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের মনোরঞ্জনের একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর প্রযুক্তির যুগে দাঁড়িয়ে প্রতিটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ার নাগালে। আগে সেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌরাত্ম না থাকলেও বেশ কয়েক বছর ধরে বিশেষ করে করোনা অতিমারি চলাকালীন লকডাউনের জেরে সমস্ত মানুষ যখন গৃহবন্দী অবস্থায় ছিল তখন থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা দুইই বেড়েছে। তাই এখন আট থেকে আশি প্রতিটি মানুষই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। বর্তমানে প্রতিদিনের আপডেট জানতে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতেই হয়।
প্রসঙ্গত, কালবাদ পরশুদিনই, জন্মাষ্টমী। মনে করা হয়, অষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। ভাদ্র মাসের অন্যতম বড় অনুষ্ঠান কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হবে আগামী সপ্তাহে। প্রচলিত বিশ্বাস এই তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীকৃষ্ণ। দৃক পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী এ বছর জন্মাষ্টমী তিথি শুরু হচ্ছে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার দুপুর ৩.৩৭ মিনিটে।জন্মাষ্টমী তিথি থাকবে বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪.১৪ মিনিট পর্যন্ত। জেনে নিন এই জন্মাষ্টমী সময় বাড়িতে কোন ছটি জিনিস রাখলে আপনার মঙ্গল হবে। অনেকেই আছেন যারা গোপালকে পুজো করতে চান। কিন্তু কবে থেকে কিভাবে পুজো শুরু করবেন বুঝতে পারেন না।

আপনাদের জন্য গোপালের পুজো শুরু করার সঠিক সময় হল এই জন্মাষ্টমী। এই দিন আপনি বাড়িতে গোপালের ছোট্ট মূর্তি এনে পুজো শুরু করতে পারেন। বাড়িতে গোপাল রাখলে সমৃদ্ধি আসে। শ্রীকৃষ্ণের নাম নিতেই তাঁর বাঁশি হাতে ত্রিভঙ্গ মূরারী মূর্তি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। বাঁশি বাজাতে কৃষ্ণ অত্যন্ত ভালোবাসতেন। জন্মাষ্টমীতে একটি বাঁশের বাঁশি আপনি ঘরে নিয়ে আসলে তা দারুণ শুভ ফল দেবে। বাঁশির পজিটিভ এনার্জির প্রভাবে উন্নতির পথ খুলে যাবে আপনার। জন্মাষ্টমীতে বাঁশি কেনা অত্যন্ত শুভ। এদিন একটি কাঠের বা রূপোর বাঁশি শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করুন। পুজো হয়ে তা যত্ন করে তুলে লকারে রেখে দিন। এর ফলে দারিদ্র্য দূর হবে। ময়ূরের পালক ছিল শ্রীকৃষ্ণের অতি প্রিয়। নিজের মাথায় সব সময় ময়ূরের পালক পরে থাকতেন তিনি।
জন্মাষ্টমীতে অবশ্যই ময়ূরের পালক কিনে ঘরে নিয়ে আসুন। এর ফলে আপনার বাড়ি থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূর হবে। যে বাড়িতে ময়ূরের পালক থাকে, সেখানে কোনও অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না বলে মনে করা হয়। ঘরে ময়ূরের পালক থাকলে কালসর্প দোষও কেটে যায়। নিজের গলায় বৈজয়ন্তী মালা পরে থাকতে ভালোবাসতেন কানাই। জন্মাষ্টমীতে বাড়িতে এক ছড়া বৈজয়ন্তী মালা নিয়ে আসুন। এর ফলে মা লক্ষ্মী বাস করবেন আপনার ঘরেই। তার কৃপায় দূর হবে দারিদ্র্য। দেবী লক্ষ্মী বাড়িতে বাস করেন। মাখন হলো গোপালের অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার। আমরা সকলেই জানি মা যশোদা কে লুকিয়ে গোপাল এই মাখন চুরি করে খেত।
তাই জন্মাষ্টমীর দিন বাড়িতে মাখন আনতে একদমই ভুলবেন না। গোপালের পুজোর সময় মিছরি এবং মাখন তাকে নিবেদন করুন। এতে গোপাল খুশি হবে। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন ব্রজের রাখাল বালক। গরু ও বাছুরদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুবই ভালোবাসতেন তিনি। শ্রীকৃষ্ণের কারণেই গোরুকে গোমাতা বলা হয়। জন্মাষ্টমীতে সত্যি গরু বাছুর কেনা শহরাঞ্চলে সম্ভব না হলেও ছোট গোরু ও বাছুরের মূর্তি কিনে ঘরে নিয়ে আসুন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে উত্তর-পূর্ব কোণে গরু বাছুরের মূর্তি রাখতে হবে মূর্তিটি বাড়ি বা অফিসের বাস্তু দোষ দূর করতে।