পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতবর্ষের একাধিক জেলায় হঠাৎ কেঁপে উঠতে শুরু করেছে অনেকের স্মার্টফোন। স্ক্রিনে এমার্জেন্সি এলার্ট নামে একটি ভেসে আসছে একটি মেসেজ। অনেকেই এই এলার্টের কারণ বুঝে উঠতে পারছেন না। আচমকা ফোনে এমন ভয়ঙ্কর মেসেজ দেখে হতবাক হয়ে যাচ্ছেন সবাই। আসলে এটি কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা হ্যাকিংয়ের বার্তা নয়। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো হচ্ছে। গত কয়েক মাস যাবৎ ভারতের একাধিক রাজ্যে এই পরীক্ষা শুরু করেছে কেন্দ্রের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ। জরুরি সময়ে যাতে প্রত্যেক মোবাইল ব্যবহারকারীই সঠিক সময়ে এই এলার্টটি পান তারই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

ফোনে আসা সেই এমার্জেন্সি এলার্টেও সেই কথা উল্লেখ করেছে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ। যা লেখা আছে, ‘এটি ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সেল ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে পাঠানো একটি নমুনা পরীক্ষার বার্তা। দয়া করে এই বার্তাটিকে উপেক্ষা করুন। কারণ আপনার পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। এই বার্তাটি জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োগ করা প্যান-ইন্ডিয়া-এমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এটির লক্ষ্য জনসাধারণের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে সময়মতো সতর্কতা প্রদান করা।’
এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল, জরুরি অবস্থার সময়ে দেশের সমস্ত নাগরিকদের সহজেই যাতে অ্যালার্ট করা যায়। যেমন, ভূমিকম্প, ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, সুনামি, বন্যা, ধস ইত্যাদির মতো ঘটনায় আপাত জনসাধারণকে অ্যালার্ট করার জন্য এই মেসেজ পাঠানো হয়েছে। এবং তাই এরই অংশ হিসাবে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রত্যেককে এখন এই মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। তবে মেসেজের অ্যালার্ট পদ্ধতি দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই মেসেজ দেখে ঘাবড়ে যাওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ এই সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষামূলক মেসেজ। জানা গিয়েছে যে, দেশের এমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম কতটা শক্তিশালী, তা যাচাই করে দেখতেই পরীক্ষামূলক ভাবে এই ফ্ল্যাশ মেসেজ পাঠানো হয়েছে।