Swikriti Majumder : বাংলা টেলিভিশন (Television) জগতের পরিচিত মুখ স্বীকৃতি মজুমদার (Swikriti Majumder)। স্টার জলসার (Star Jalsha) একসময়ের চর্চিত ধারাবাহিক ‘খেলাঘর’ (Khelaghor) থেকে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন স্বীকৃতি। তারপর করেছেন ‘মেয়েবেলা’। এই ধারাবাহিকেও তাঁর চরিত্র ছিল চর্চার কেন্দ্রে।
![Swikriti Majumder](https://www.tollywoodonline.in/wp-content/uploads/2024/04/Swikriti-Majumder-1.jpg)
টিআরপির অভাবে অল্পদিনের মধ্যে বন্ধ হয়েছিল মেয়েবেলা। তারপর স্বীকৃতি সুযোগ পান জি বাংলার ধারাবাহিক আলোর কোলেতে। তবে একের পর এক চরিত্রে সুযোগ পেলেও কোনোকালে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত হতে চাননি স্বীকৃতি। চেয়েছিলেন অন্য পেশায় যুক্ত হতে। দিদি নম্বর ওয়ানে এসে সেই কথাই খোলসা করেছেন অভিনেত্রী।
Swikriti Majumder Unknown Story:
এদিন সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি জিজ্ঞেস করেন, অভিনয় জীবনে কত বছর পাড় করলেন স্বীকৃতি? তিনি জানান, ‘তিন বছর।’ কীভাবে আসা হল এই জগতে? স্বীকৃতির কথায়, ইঞ্জিনিয়াররিং করতে করতে প্লেসমেন্ট পান তিনি। নতুন চাকরি নিয়ে পাড়ি দেন বোম্বে। সেখানেই একটি বিউটি কনটেস্টে দ্বিতীয় হন স্বীকৃতি।
![Swikriti Majumder](https://www.tollywoodonline.in/wp-content/uploads/2024/04/Swikriti-Majumder-2.jpg)
ভাগ্যের চাকা ঘোরে তখন। চ্যানেল থেকে ডাক পান। অডিশন দেন। তারপর পনেরো দিন বাদে কনফার্ম হয়। মা-বাবা একপ্রকার জোড় করে পাঠিয়েছিলেন এদিন। এখন স্বীকৃতির কাজ নিয়ে কতটা খুশি বাবা -মা? স্বীকৃতির কথায়,” আমার বাবা-মা অন্যরকম। তাঁরা সবসময় চাইতেন মেয়ে অভিনয় জগতে আসুক। অভিনয় করুক। পরিচিতি পাই। কিন্তু আমি চাইতাম ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করব, জয়েন্ট দেব। আমার নিজের ইচ্ছেতেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া। বাবা-মার ইচ্ছে ছিল না।”
স্বীকৃতির কথা শুনে অবাক রচনাও। অধিকাংশ বাবা-মা চান সন্তান লেখাপড়া শিখে, চাকরি করুক। কিন্তু এক্ষেত্রে স্বীকৃতির বাবা-মা একেবারে আলাদা। এরপরই সঞ্চালিকা প্রশ্ন করেন, যখন শ্যুটিং না থাকে তখন কী কর? অভিনেত্রীর কথায়, তিনি প্রচণ্ড ল্যাদখোর। ঘুমোতে ভালোবাসেন। ঘুম আর টিভি পেলে আর কিছু চাই না। এটাই নাকি তাঁর জীবন।